কক্সবাজারের রামুতে ৯০ কোটি টাকার ক্রিস্টাল মেথ আইসসহ ২ জনকে আটক করেছে বিজিবি। উদ্ধারকৃত ক্রিস্টাল মেথ আইস এর পরিমান ১৮ কেজি ২০ গ্রাম। বৃহষ্পতিবার, ১৪ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১২ টায় রামু ব্যাটালিয়ন (৩০ বিজিবি) এর অধীনস্থ মরিচ্যা যৌথ চেকপোষ্টে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে টেকনাফ হতে কক্সবাজারগামী ট্রাক থেকে এসব আইস উদ্ধার করা হয়।
অভিযানে আটককৃতরা হলেন- কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার জাহাজপুরা নেয়াখালী পাড়ার মৃত আজিজুর রহমানের ছেলে ট্রাক চালক মো. কেফায়েত উল্লাহ (৩৮) এবং একই উপজেলার মহেশখালী পাড়ার আবু বকরের ছেলে মো. হারুন (২৩)। এসময় ট্রাকে থাকা হোসাইন আহমদ (৪১) পালিয়ে যান। তিনি টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ডেগিল্যার বিল এলাকার কালা মিয়ার ছেলে।
উদ্ধারের বিষয়ে শুক্রবার বিকাল ৩ টায় রামু ব্যাটালিয়ন (৩০ বিজিবি) সদর দপ্তরে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান, রামু ব্যাটালিয়ন (৩০ বিজিবি) অধিনায়ক লঃ কর্নেল সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান তানজিদ। এসময় তিনি আরও জানান- তল্লাশী করে ট্রাকে থাকা লবনের বস্তার ভিতরে সাদা কাপড়ে মোড়ানো ও বিশেষভাবে লুকায়িত অবস্থায় ১৮.০২০ কেজি ক্রিস্টাল মেথ আইস উদ্ধার করা হয়।
পরবর্তীতে আটক ট্রাক চালক মো. কেফায়েত উল্লাহ ও তার সহযোগি মো. হারুনের স্বীকারোক্তি মতে মাদক চক্রের মূল হোতা হোসাইন আহমদকে ধরার জন্য টেকনাফের সাবরাং এলাকায় সারারাত অভিযান পরিচালনা করা হয়। এখন পর্যন্ত সে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গ্রেপ্তার এড়াতে সক্ষম রয়েছে। সে যাতে বৈধভাবে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে এ জন্য তার পাসপোর্ট এবং পরিচয় পত্র জব্দ করা হয়েছে। তাকে গ্রেফতারে বিজিবি’র অভিযান এবং গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।
তল্লাশীকালে ১৮ কেজি ২০ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস ছাড়াও পাচারে ব্যবহৃত ট্রাক, ৩ লাখ ৩৬ হাজার টাকা, এক বোতল বিদেশী মদ, ১টি চাকু ও ৩টি মোবাইল জব্দ করা হয়েছে। আটককৃত আসামীদেরকে আইস এবং অন্যান্য মালামালসহ নিয়মিত মামলার মাধ্যমে রামু থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে রামু ব্যাটালিয়ন (৩০ বিজিবি) অধিনায়ক লঃ কর্নেল সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান তানজিদ আরও জানান- উদ্ধারকৃত ক্রিস্টাল মেথ আইসের মূল্য ৯০ কোটি টাকা। বর্তমান সরকারের মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির যথাযথ বাস্তবায়নকল্পে মাঠ পর্যায়ে বিজিবি’র অভিযানিক কর্মকান্ড এবং গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
সোয়েব সাঈদ, রামু
পাঠকের মতামত